আলোকিত সিলেট:
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে অবহেলিত একটি গ্রাম দাউদপুর। ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই গ্রামের মানুষগুলোর আক্ষেপ হয়তো থেকেই যাবে। দেশের সব জায়গায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও অবহেলিত দাউদপুর গ্রাম। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় যেন দেখেও দেখার কেউ নেই। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামটিতে এখনোও স্পর্শ করেনি। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়াতে গ্রামের জীবন মানও উন্নত হচ্ছে না।
গ্রামের দুটি রাস্তার মধ্যে দুটোই কাঁচা রাস্তা। এর মধ্যে একটি বর্ষার পানিতে অর্ধেকাংশ তলিয়ে যায়। বর্ষাকালে এ রাস্তায় কাঁদায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য। এতে করে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের কষ্টের অন্ত নেই। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালে শুধু আশার বাণী ছাড়া কিছু হয় নি। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তায় ধূলিকণার স্তর প্রায় ২ ইঞ্চি যা মানুষের চলাচলে খুবই কষ্টদায়ক । ধুলিকণা ও হাটু কাঁদার কাঁচা রাস্তা দিয়েই ২৫০ পরিবার জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়।তাছাড়া ৫০০ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে এই রাস্তা দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন যাতায়াত করতে হয়। যা দীর্ঘদিন দিন ধরে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আধুনিকতায় দেশ অনেক এগিয়ে কিন্তু আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই আজ পর্যন্ত এই অবহেলিত গ্রামের কোন রাস্তা-ঘাটে স্পর্শ করেনি। সরকার যেখানে গ্রামকে শহরের সুবিধা প্রদান করার অঙ্গিকার করেছে সেখানে এই গ্রামের সকল কিছুতে এখনোও পর্যন্ত উন্নয়নের কোন বালাই নেই।
যুগের পর যুগ এই গ্রামের মানুষ কষ্ট আর প্রচন্ড দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই জীবন পার করে আসছে। এছাড়াও কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বর্ষাকালে কৃষি পন্যসহ অন্যান্য পন্য পরিবহন করা যেন অসম্ভব এক বিষয়।
গ্রামের কোন জরুরী অসুস্থ্য রোগীকে গ্রামের এই মেঠোপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। আর বর্ষাকালীন সময়ে রোগীকে চিকিৎসালয়ে পৌছানো নৌকাবিহীন অকল্পনীয়। তখন মনে হয় যেন এই গ্রামটি বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বঞ্চিত।
কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আশাকরি খুব দ্রুত দাউদপুর গ্রামের রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
লেখক
রাজু বিশ্বাস
সহকারী শিক্ষক(বিবিজিএস।
সুপারিশপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার।
0 মন্তব্যসমূহ